ওয়েব ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই দিবসটি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করা হচ্ছে।
নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার কীর্তি আজও আলো ছড়াচ্ছে সমাজে, দেশ থেকে দেশে। রোকেয়া দিবস সরকারিভাবে দেশে পালন করা হয়।
এ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। এ উপলক্ষে প্রকাশ করা হচ্ছে বিশেষ ক্রোড়পত্র, পোস্টার, বুকলেট ও স্মারকগ্রন্থ।
করোনাকালে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিবসের কর্মসূচি পালন করা হবে। এবার এ দিবসে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য দেশের পাঁচজন নারী পাচ্ছেন ‘বেগম রোকেয়া পদক’।
বেগম রোকেয়া পদক-২০২১ এর জন্য মনোনীতদের রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পদক তুলে দেওয়া হবে আজ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার কাছ থেকে তারা এই সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন।
প্রসঙ্গত, নারী জাগরণের পথিকৃৎ বেগম রোকেয়ার কর্ম ও আদর্শকে সামনে রেখে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অনন্য অর্জনের জন্য প্রতিবছর ৯ ডিসেম্বর বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করা হয়।
বেগম রোকেয়া পদকের জন্য মনোনীতরা হলেন- নারী শিক্ষায় কুমিল্লা জেলার প্রফেসর হাসিনা জাকারিয়া বেলা, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় যশোর জেলার অর্চনা বিশ্বাস, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখায় কুমিল্লার শামসুন্নাহার রহমান পরাণ (মরণোত্তর), পল্লী উন্নয়নে অবদান রাখায় কুষ্টিয়া জেলার গবেষক ড. সারিয়া সুলতানা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণের ক্ষেত্রে অবদান রাখায় মনোনীত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও রোকেয়া হলের প্রভোস্ট ড. জিনাত হুদা।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার পায়রাবন্দ গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন। ওই সময় মুসলিম সমাজে মেয়েদের পড়াশোনার প্রথা ছিল না। পরিবারের সবার অগোচরে বড় ভাইয়ের কাছে উর্দু, বাংলা, আরবি ও ফারসি পড়তে-লিখতে শেখেন বেগম রোকেয়া। পরে বিহারের ভাগলপুরে সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। স্বামীর উৎসাহে ও নিজের আগ্রহে তিনি আরও শিক্ষা লাভ করেন। বেগম রোকেয়া ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রয়াত হন।
বেগম রোকেয়া ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ জরিপে ষষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক হিসেবে পরিচিত। তার উল্লেখযোগ্য রচনা হলো- মতিচূর, সুলতানার স্বপ্ন, পদ্মরাগ, অবরোধ-বাসিনী।